Thursday, May 18, 2023

Dhaka - The city of Dreams

Introduction: Dhaka, the capital city of Bangladesh, has a rich and complex history. The city has been a center of political, economic, and cultural activity for centuries, and has played a significant role in shaping the history of the region. In this paper, we will explore the history of Dhaka from its early beginnings to the present day, highlighting key events and developments that have shaped the city. Early History: Dhaka's early history is shrouded in mystery, with little known about the city before the 7th century. According to historical records, the city was founded in the 7th century by the Buddhist king Ballal Sena, who established a fort on the site of the present-day city. The city was initially known as "Deva Nagari," meaning "City of the Gods," and was an important center of trade and commerce. Medieval Period: Over the centuries, Dhaka grew in importance, becoming a key center of Islamic culture and learning during the medieval period. The city was ruled by a succession of Muslim dynasties, including the Delhi Sultanate, the Mughal Empire, and the British Raj. During this period, Dhaka became known as a center of textile production, with its muslin fabrics being particularly prized in Europe. Modern Era: In the modern era, Dhaka played a key role in the struggle for independence from British colonial rule. The city was the site of numerous protests and demonstrations, including the historic Language Movement of 1952, which saw Bengali-speaking students and activists demand recognition of their language as an official language of Pakistan. This movement ultimately led to the creation of Bangladesh in 1971, with Dhaka becoming the capital of the new nation. Contemporary Dhaka: Today, Dhaka is a bustling and rapidly growing metropolis, with a population of over 21 million people. The city is a center of industry, commerce, and culture, with a thriving arts scene and a rich culinary tradition. However, Dhaka also faces numerous challenges, including traffic congestion, air pollution, and social inequality. Conclusion: The history of Dhaka is a testament to the resilience and creativity of its people. From its early days as a center of trade and commerce to its role as a key center of Islamic culture and learning, the city has played a significant role in shaping the history of the region. Today, Dhaka continues to evolve and grow, as it faces both the opportunities and challenges of the 21st century.

Friday, July 9, 2021

নিকোলো টেসলা : নিজেকে পুড়িয়ে সুবাস ছড়িয়ে যাওয়া উদ্ভাবক এর আজ শুভ জন্মদিন

 

নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গ করার লোকের অভাব এই সভ্য সমাজেও হয় না। সমাজের যাঁরা দণ্ডমুণ্ডের কর্তা, তাঁরাও আছেন এই দলে। তাই বলে বিজ্ঞানীরা! তাও যেনতেন বিজ্ঞানী নন। ইতিহাসের পাতায় যাঁদের নাম সোনার হরফে ছাপা হয়ে গেছে, কর্মগুণে নিজেদের তুলেছেন অন্য এক উচ্চতায়, মানবসভ্যতা যাঁদের অবদানকে কুর্নিশ করে, সেই বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানীরা শঠতা আর নীচতায় কুটিল লোককেও হার মানান—ইতিহাসে এমন নজির কিন্তু কম নেই। বিখ্যাত মার্কিন উদ্ভাবক টমাস আলভা এডিসনের কুটিলতায় আরেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলার জীবনে নরক নেমে এসেছিল।

১৮৮৮ সাল। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন। অজস্র লোক জড়ো হয়েছেন রাস্তার মোড়ে। তামাশা দেখতে। সাধারণ লোক তো বটেই, সাংবাদিকেরাও আছেন সেই লোকের ভিড়ে। তামাশাটা দেখাবেন বিখ্যাত মার্কিন উদ্ভাবক, লোকে যাঁকে আক্ষরিক অর্থেই ‘আলোক পুরুষ’ ভাবেন, যিনি কিছুদিন আগে বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করে পৃথিবীর বুক থেকে অন্ধকার হটানোর রাস্তা পরিষ্কার করেছেন, সেই টমাস আলভা এডিসন রচনা করতে চলেছেন এক অন্ধকার ইতিহাসের অধ্যায়। রাস্তার মোড়ে একটা কুকুরকে বেঁধে রেখেছেন তিনি। সেটাই আপাতত বলির পাঁঠা। কুকুরের গাঁয়ে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে দিয়েছেন এডিসন। তারপর সেই তারে দিলেন বিদ্যুৎ-সংযোগ। প্রচণ্ড শকে কেঁপে উঠল কুকুরটা। দুমড়েমুচড়ে গেল ওটার শরীর। সঙ্গে যন্ত্রণাকাতর চিৎকার। আসলে বিদ্যুতের এই ভয়াবহতাই এডিসন সাংবাদিক আর সাধারণ মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চেয়েছিলেন। এর উদ্দেশ্য কিন্তু জনসচেতনতা বা জনকল্যাণ নয়, বরং নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সব প্রতিপক্ষকে কাবু করার জঘন্য পাঁয়তারা।

শরীরে বিদ্যুতের খোলা তার স্পর্শ করলে যে প্রচণ্ড শক পেতে হয়, এ কথা এখন কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চারাও জানে। কিন্তু এডিসনের সেই কুকরকাণ্ডের আগে সে কথা জানত না সাধারণ মানুষ। এডিসন নিজে বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করেছেন, বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু সেই বিদ্যুৎ ছিল ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্ট। মোবাইল, রেডিও, টর্চে যে ড্রাইসেল ব্যবহার করা হয়, এগুলো সবই ডিসি কারেন্ট। এগুলো দিয়ে বড়জোর ছোটখাটো ডিভাইস চালানো যায়। আমাদের নিত্যদিনে কলকারখানা থেকে শুরু করে বাড়ির টিভি, ফ্রিজ, ইলেকট্রিক ফ্যান, বৈদ্যুতিক বাতিতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করি, এগুলোই আসলে এসি বা অলটারনেটিং কারেন্ট। এডিসনের কারবার ছিল ডিসি কারেন্ট নিয়ে। এসি কারেন্টের খবর তিনি জানতেন না। কিন্তু সার্বিয়া থেকে আসা এক তরুণ প্রতিভা, যার নাম নিকোলা টেসলা, তিনি বুঝেছিলেন এসি কারেন্টের মাহাত্ম্য। বুঝেছিলেন আগামী পৃথিবী শাসন করবে তারই উদ্ভাবিত এসি কারেন্ট। টেসলার সঙ্গে এডিসনের বিরোধের সূত্রপাত তখনই।
তখন টেসলা এডিসনের কোম্পানিতে চাকরি করেন। এডিসন বৈদ্যুতিক বাতির জনক। কিন্তু সেই বাতি অতটা কার্যকর ছিল না। এডিসন তাঁকে বলেছিলেন, ‘যদি একটা উন্নত মানের ডিসি জেনারেটরে চালানো যায়—এমন বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করতে পারো, তাহলে ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার পাবে।’ টেসলা চিরকাল নিঃসম্বল মানুষ ছিলেন। সৃষ্টির নেশাতেই মেতে থাকতেন, টাকা-পয়সা কীভাবে কামাতে হয়, এ বুদ্ধি তাঁর ছিল না। চরম দরিদ্র জীবন পার করতে হচ্ছিল। এডিসনের ৫০ হাজার ডলারের প্রতিশ্রুতি তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল, দেখেছিলেন নতুনভাবে জীবন গড়ার আশা। কঠোর পরিশ্রম করে তিনি সত্যি সত্যি একটা কার্যকর বৈদ্যুতিক বাতির মডেল দাঁড় করান। এডিসনকে দেখান। এডিসন সেটা কাজে লাগানোর তোড়জোড় শুরু করেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে তাঁর কোনো হেলদোল নেই। টেসলা তাঁকে মনে করিয়ে দেন সে কথা। এডিসন তখন হো হো করে হেসে বলেন, ‘আমেরিকানদের মশকরা তুমি বোঝেনি। ৫০ হাজারের প্রতিশ্রুতিটা নিতান্ত ফান ছিল।’ এডিসন শুধু টেসলার সাপ্তাহিক বেতনটা ১০ ডলার বাড়িয়ে ১৮ থেকে ২৮ ডলারে উন্নীত করেন।

রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে, অভিমানে চাকরি ছেড়ে দেন টেসলা। ভীষণ মর্মাহত হন। নিজেই চেষ্টা করেন একটা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার। এর জন্য টাকা তো চাই! টাকা জোগাড়ের জন্য নতুন নতুন জিনিস তৈরি করেন এবং সেগুলোর পেটেন্ট করান। খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। তাঁর এই সাফল্য নজরে পড়ে আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্সের কর্তাদের। টেসলার ডাক পড়ে সেখানে লেকচার দেওয়ার জন্য। সেখানেই পরিচয় হয় এডিসনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জর্জ ওয়েস্টিংহাউসের সঙ্গে। তিনি টেসলার সঙ্গে কথা বলেন এবং নিজের কোম্পানিতে চাকরির প্রস্তাব দেন। এডিসনকে জব্দ করার এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর কী হতে পারে?

দুজন মিলে গবেষণা করলেন এসি বিদ্যুৎ নিয়ে। তরতরিয়ে এগিয়ে চলছিল এসি বিদ্যুতের জয়যাত্রা। সেটাই এডিসনের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে। এডিসন বুঝতে পারছিলেন তাঁর ডিসি কারেন্টের ব্যবহার বেশি দিন চলবে না, মানবসমাজে একচ্ছত্র আধিপত্য নেবে টেসলার এসি কারেন্ট। সুতরাং বাজারে টিকে থাকতে হলে মানুষকে ভুল বোঝাতে হবে। এসি কারেন্টের ভয়াবহতা যদি দেখানো যায় লোকসমাজে, সংবাদমাধ্যম যদি ফলাও করে সে সংবাদ প্রচার করে, তবে হয়তো রোখা যাবে টেসলাকে। তাই তিনি এসি কারেন্ট দিয়ে কুকুর মারার ওই আয়োজন করেছিলেন।

এডিসনের ওই কাণ্ড সক্ষম হয়েছিল মানুষকে ভুল বোঝাতে। টেসলা একটা বিশাল প্রজেক্টে হাত দিয়েছিলেন। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা মাঝপথে সেই প্রজেক্ট বন্ধ করে দেয়। আবার পথের ভিখারিতে পরিণত হন টেসলা। তবু তাঁকে দমানো যায়নি। ছোট-বড় প্রায় এক হাজার বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের জনক তিনি। কিন্তু বেশির ভাগেরই স্বত্ব চুরি করে অন্যের নামে পেটেন্ট রাইট করা হয়। সারা জীবন গরিব আর ব্রাত্যই রয়ে যান টেসলা। এক্স-রে, বেতারযন্ত্রের অন্যতম আবিষ্কারকও তিনি। কিন্তু এ কথা এখন কেউ বিশ্বাস করবে না। তাঁর জীবনটা ছিল ধূপের মতো। নিজেকে পুড়িয়ে সুবাস ছড়িয়ে গেছেন, আলো জ্বালিয়ে গেছেন পৃথিবীর বুকে।

Sunday, May 23, 2021

কোন কাজের পূর্বে বিসমিল্লাহ্ বলা যাবে আর কোন কাজের পূর্বে বলা যাবে না? ||ইসলাম

 প্রশ্ন: সকল প্রকার কাজের শুরুতে কি ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে হয়? এমনকি হারাম কাজের শুরুতেও কি বিসমিল্লাহ বলা বৈধ?

উত্তর:
সকল প্রকার দুনিয়াবী বৈধ কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে হয়। হারাম বা মাকরূহ কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হারাম বরং তা আল্লাহর সাথে ধৃষ্টতা প্রদর্শনের শামিল।
বিসমিল্লাহ বলার অর্থ উক্ত কাজে আল্লাহর সাহায্য ও বরকত কামনা করা। সুতরাং কেউ যদি আল্লাহর নিষিদ্ধ বা ঘৃণিত কাজে তার নিকট সাহায্য চায় বা বরকত কামনা করে তাহলে তা মহামহিম আল্লাহর সাথে বেয়াদবী করা হল না?
যেখানে হারাম কাজ করার আগে আল্লাহ তাআলার কথা স্বরণ করে সেখান থেকে দূরে সরে আসা আবশ্যক সেখানে বিসমিল্লাহ বলে হারাম কাজ করা কোনভাবেই বৈধ হতে পারে না।

🌀 কখন বিসমিল্লাহ্‌ বলা মুস্তাহাব?

🔸 ১) টয়লেটে প্রবেশের পূর্বে: بِسْمِ اللـهِ اللَّهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الـخُبْثِ والـخَبَائِثِ তবে বিসমিল্লাহ ছাড়াও দুয়াটি বর্ণিত হয়েছে।
🔸২) ওযুর শুরুতে بِسْمِ اللهِ
🔸 ৩) খাওয়ার সময় بِسْمِ اللهِ
🔸 ৪) প্রাণী যবেহ্‌ করার সময়: بِسْمِ اللَّـهِ وَاللهُ أكْبرُ
(অনেক আলেমের মতে প্রাণী জবেহের সময় এই দুআ পড়া ওয়াজিব)
🔸 ৫) স্ত্রী সহবাসের সময়। ইবনু আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন:
لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَتَى أَهْلَهُ قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا فَقُضِيَ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ لَمْ يَضُرُّهُ
“তোমাদের কোন ব্যক্তি যদি স্ত্রী সহবাসের সময় এই দু’আ পাঠ করে:
بِسْمِ اللهِ اللهمَّ جَنِّبْناَ الشَّيْطاَنَ وَجَنِّبِ الشَّيْطاَنَ ماَ رَزَقْتَناَ
‘শুরু করছি আল্লাহর নামে, হে আল্লাহ্‌! আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে যে সন্তান দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখ।’ তবে তাদের জন্য যদি কোন সন্তান নির্ধারিত হয়ে থাকে, তাহলে শয়তান কখনই তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।” (সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ দু’আ, অনুচ্ছেদঃ স্ত্রী সহবাসের সময় যা বলতে হয়। হা/ ৫৯০৯। মুসলিম অধ্যায়ঃ বিবাহ অনুচ্ছেঃ সহবাসের সময় যা বলা মুস্তাহাব হা/ ২৫৯১)
🔸 ৬) নৌযানে আরহণের সময় بِسْمِ اللَّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا ۚ إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ (সূরা হূদ- ৪১)
🔸৭) পত্র লিখার সময় بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ (সূরা নমল- ৩০)
🔸 ৮) রাস্তায় চলতে গিয়ে হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গেলে বিসমিল্লাহ। যেমন এ মর্মে হাদীস বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ عَنْ رَجُلٍ قَالَ كُنْتُ رَدِيفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَثَرَتْ دَابَّةٌ فَقُلْتُ تَعِسَ الشَّيْطَانُ فَقَالَ لَا تَقُلْ تَعِسَ الشَّيْطَانُ فَإِنَّكَ إِذَا قُلْتَ ذَلِكَ تَعَاظَمَ حَتَّى يَكُونَ مِثْلَ الْبَيْتِ وَيَقُولُ بِقُوَّتِي وَلَكِنْ قُلْ بِسْمِ اللَّهِ فَإِنَّكَ إِذَا قُلْتَ ذَلِكَ تَصَاغَرَ حَتَّى يَكُونَ مِثْلَ الذُّبَابِ.
আবূ মুলাইহ্‌ থেকে বর্ণিত, তিনি জনৈক ব্যক্তি (ছাহাবী) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: আমি একদা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর সাথে তাঁর আরোহীর পিছনে বসা ছিলাম। এমন সময় আরোহীটি পা ফসকে পড়ে গেল। তখন আমি বললাম, শয়তান ধ্বংস হোক। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বললেন: “শয়তান ধ্বংস হোক এরূপ বলো না, কেননা এতে সে নিজেকে খুব বড় মনে করে এমনকি ঘরের মত হয়ে যায় এবং বলে আমার নিজ শক্তি দ্বারা একাজ করেছি; বরং এরূপ মূহুর্তে বলবে ‘বিসমিল্লাহ্‌’। এতে সে অতি ক্ষুদ্র হয়ে যায় এমনকি মাছি সদৃশ্য হয়ে যায়।” [ মুসনাদে আহমাদ হা/ ১৯৭৮২। আবু দাঊদ, অধ্যায়ঃ আদব-শিষ্টচার, অনুচ্ছেদঃ এরকম বলবে না আমার প্রাণ খবিস হয়ে গেছে। হা/ ৪৩৩০। শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেন, সহীহ তারগীব তারহীব হা/ ৩১২৯। সহীহ আবু দাউদ হা/ ৪৯৮২।)
🔸 ৯) সূরা তওবা ছাড়া যে কোন সূরা পড়ার শুরুতে بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
🔸১০) মসজিদে প্রবেশের সময় بسم اللهِ، وَالصَّلاةُ وَالسَّلامُ عَلَى رَسُولِ الله ، اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أبْوَابَ رَحْمَتِكَ
🔸 ১১) মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় بِسْمِ اللَّهِ وَالصَّلاةُ وَالسَّلامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ إنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ، اللَّهُمَّ اعْصِمْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيم
🔸১২) এছাড়াও দুনিয়াবী যে কোন বৈধ কাজের শুরুতে।
আল্লাহু আলাম

উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার , সৌদি আরব

রক্ষক যখন ভক্ষক || সত্য ঘটনা অবলম্বনে ||

একজন ডাক্তার বাংলাদেশে প্রাইভেট হাসপাতালের চাকরি ছেড়ে লন্ডনে গিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে সেলসম্যান হিসাবে যোগ দিলেন। স্টোরের মালিক জিজ্ঞেস করলেন- তোমার কোনো অভিজ্ঞতা আছে ? তিনি জানালেন- আমি দেশে একজন ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলাম। চাকরির প্রথম দিনে তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করলেন। সন্ধ্যে ছ’টায় ছুটির সময় বস তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন- আজ তুমি ক’জন ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করেছ ? তিনি উত্তর দিলেন- আমি আজ সারাদিনে একজন ক্রেতার কাছে বিক্রি করেছি। মালিক আশ্চর্য হয়ে বললেন- মাত্র একজন? এখানকার প্রত্যেক সেলসম্যান দিনে ২০ থেকে ৩০ জন ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করে। তা তুমি কত পাউন্ডের পণ্য বিক্রি করেছ? তিনি বললেন- ৯৮,৭৬,৫৪৩ পাউন্ড। বস অবাক হয়ে বললেন- কী! এটা তুমি কিভাবে করলে? তিনি বললেন- ওই ক্রেতার কাছে প্রথমে মাছ ধরার একটি ছোট্ট বড়শি বিক্রি করেছি । তারপর একটি বড় ও একটি মাঝারি বড়শি বিক্রি করলাম। এরপর একটি বড় ফিসিং রড আর কয়েকটি ফিসিং গিয়ার বিক্রি করলাম। তারপর আমি তাকে প্রশ্ন করলাম- আপনি কোথায় মাছ ধরবেন? তিনি বললেন- তিনি সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় মাছ ধরবেন। তখন আমি তাকে বললাম- তাহলে তো আপনার একটি নৌকার প্রয়োজন হবে। আমি তাকে নিচতলায় নৌকার ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলাম। ভদ্রলোক সেখান থেকে কুড়ি ফুট দীর্ঘ দুই ইঞ্জিন-বিশিষ্ট নৌকা কিনলেন। এরপর আমি তাকে বললাম- এই নৌকাটি তো আপনার ভক্সওয়াগন গাড়িতে ধরবে না, একটা বড় গাড়ির প্রয়োজন! আমি ভদ্রলোককে অটোমোবাইল ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলাম। আমার পরামর্শে তিনি নৌকাটি বহন করার উপযোগী একটি গাড়ি বুকিং দিলেন। তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম- মাছ ধরার সময় কোথায় থাকবেন? তিনি জানালেন- এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা করেননি। আমি তাকে ক্যাম্পিং ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলাম। তিনি আমার পরামর্শ মতো ছ’জন লোক ঘুমানোর উপযুক্ত একটি ক্যাম্প তাঁবু কিনলেন। সবশেষে আমি তাঁকে বোঝালাম- আপনি যখন এতোকিছু কিনেছেন, এখন কিছু খাবার ও পানীয় কিনে নেওয়া উচিত। ভদ্রলোক দু’শ’ পাউন্ড দিয়ে কিছু মুদি-দ্রব্য ও দু’ কেইস বিয়ার কিনলেন! এবারে স্টোরের মালিক একটু দমে গিয়ে বিস্ময়ের সঙ্গে বলে উঠলেন- যে লোকটা একটি বড়শি কিনতে এসেছিল, তুমি তাকে দিয়ে এতোকিছু কেনালে! ডাক্তার ভদ্রলোক বললেন- না স্যার, ওই ভদ্রলোক শুধুমাত্র মাথাব্যথার ওষুধ কিনতে এসেছিলেন। আমি তাঁকে বোঝালাম- মাছ ধরলে মাথাব্যথার উপশম হবে। স্টোরের মালিক এবারে জানতে চাইলেন- এর আগে তুমি কী কাজ করতে ? তিনি বললেন- আমি বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তার ছিলাম। দরকার না হলেও তখন রোগীদেরকে নানা ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, ইকো, ইসিজি, সিটি স্ক্যান, এক্সরে, এম.আর.আই ইত্যাদি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিতাম। স্টোরের মালিক বললেন- তুমি এখন থেকে আমার চেয়ারেই বসবে আর আমি তোমার দেশে গিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে ট্রেনিং নিয়ে আসব.....😐....!!

Tuesday, May 18, 2021

String Theory ||Part-1 ||Science

গ্রিকদের সময় থেকেই দার্শনিকদের ধারণা ছিলো সকল পদার্থ, পরামানু (Atom) নামক অতিক্ষুদ্র, অবিভাজ্য কণা দ্বারা গঠিত। অর্থাৎ যেকোনো পদার্থকে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সর্বশেষ যে অবস্থা পাওয়া সম্ভব তাই পরমানু। কিন্তু বর্তমানে আমাদের ভাঙ্গার দৌড় পরমানু পর্যন্ত আটকে থেকে নেই। পরমানুকে ভেঙ্গে আমরা এর ভেতর থেকে বের করে এনেছি ইলেকট্রন, নিউক্লি (Nuclei)। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা ইলেকট্রন, নিউক্লিকেও ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন এবং আবিষ্কার করেছেন আরও অসংখ্য অতিপারমানবিক কণার(Subatomic Particle) অস্তিত্ব। কিন্তু আগেকার সময়ের বিজ্ঞানী এবং দার্শনিকরা পরমানুর মাধ্যমে যেকোনো ধরণের পদার্থ সৃষ্টি হবার যে সরল কাঠামো (Framework) বের করে ফেলেছিলেন, অতিপারমানবিক কণাগুলো আবিষ্কার করার পর সেটা করা প্রায় অসম্ভব এবং ঝামেলার কাজ হয়ে দাঁড়ালো। নিউট্রিনো, কোয়ার্ক, মেসন, লেপটনস, হার্ডডন্স, গ্লুওনস, ডব্লিও-বোসন ইত্যাদি ইত্যাদি উদ্ভট নামের এবং ধর্মের অতিপারমানিক কণারাই যে প্রকৃতির একেবারে মৌলিক পর্যায়ের অবস্থা সেটা মেনে নেওয়াটা কষ্টকরই বটে।পদার্থের গাঠনিক কাঠামো ব্যাখ্যা করার কষ্টসাধ্য এই বিষয়টাকে অতিচমৎকার ও সরলভাবে উপস্থাপন করা যায় স্ট্রিং তত্ত্ব (String theory) এবং এম তত্ত্ব (M-theory) দ্বারা। অতিপারমানবিক কণা দ্বারা সকল ধরণের পদার্থ সর্বোপরী মহাবিশ্ব সৃষ্টিকে আসলে তুলনা করা যায় ভায়োলিনের তার কিংবা ড্রামের মেমব্রেনের মাধ্যমে সুর সৃষ্টির সাথে। তবে মনে রাখা দরকার, এগুলো সাধারণ তার কিংবা মেমব্রেনের মতো নয়, এদের অস্তিত্ব দশ-এগারো মাত্রা পর্যন্ত বিস্তৃত। স্ট্রিং তত্ত্ব নিয়ে পরবর্তী part গুলোতে বিস্তারিত আলোচনা করার প্রচেষ্টা থাকবে।

String Theory ||Part -2 ||Science

আইনস্টাইন বেঁচে থাকতেই তার নামে অনেক মিথ(myth) প্রচলিত ছিল। বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা ছিল, তিনি মহাবিশ্ব সম্পর্কে এমন কিছু বুঝতে সক্ষম যা সাধারণ মানুষ কখনই বুঝতে পারবে না। তার আপেক্ষিক তত্ত্ব নিয়েও অনেক কল্পকাহিনী প্রচলিত ছিল। তবে এটিও সত্য যে, সে সময়ে তার “আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব” বোঝার মতো লোক খুব কমই ছিল। বিজ্ঞানী এডিংটন ছিলেন তার আপেক্ষিক তত্ত্বের একজন জোরালো সমর্থক। জনপ্রিয় বিজ্ঞান ও আপেক্ষিক তত্ত্বের বক্তৃতা দিয়ে ততদিনে তার বেশ সুনামও হয়ে গেছে। একদিন এডিংটনকে বলা হলো, “আপনি সহ মোট তিনজন ব্যক্তি আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব বুঝতে পারে”। একথা বলার পর এডিংটন কিছুক্ষণ কোনো কথা বললেন না। তখন সবার মনে হয়েছিল, এডিংটন বুঝি বিনয় দেখিয়ে চুপচাপ আছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে এডিংটন বলল, “আসলে আমি ভেবে পাচ্ছিনা, তৃতীয় ব্যক্তিটি কে?”। এডিংটনের পরবর্তী সময়ের কারো মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, কেমন সেই তত্ত্ব, আইনস্টাইনের মতো লোকও যার সমাধান করতে চেয়ে সুবিধা করতে পারেননি! তিনি যে তত্ত্বের জন্য তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে গেছেন তার নাম- ইউনিফাইড ফিল্ড থিওরি (Unified Field Theory) বা “সমন্বিত ক্ষেত্র তত্ত্ব”। তিনি এমন একটি তত্ত্ব গঠন করতে চেয়েছিলেন, যা প্রকৃতির জানা সকল বল ও ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে পারে; এমন একটি সমীকরণ, যা দিয়ে প্রকৃতির সবকিছু বর্ণনা করা যায়।এমনকি মৃত্যুর কিছু ঘণ্টা আগে পর্যন্ত আইন্সটাইন এই তত্ত্ব নিয়ে ভেবেছিলেন।

String Theory ||Part-3 ||Science

আইনস্টাইনের মৃত্যুর পরেও বিজ্ঞানীরা কিন্তু তাঁর এই চিন্তাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেননি। সে সময়ের বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, এমন কোনো তত্ত্বের খোঁজ করা সময় নষ্ট ছাড়া বেশি কিছু না। মূলত আইনস্টাইন ছিলেন তার সময়ের চেয়ে অনেক অগ্রগামী। তার সময়ের বিজ্ঞানীরা এমন একটি তত্ত্বের গুরুত্বই বুঝতে পারেনি। কিন্তু আইনস্টাইন মারা যাবার দশক দুয়েক পরেই বেশ কিছু বড়সড় পরিবর্তন আসে। ষাটের দশকের কাছাকাছি সময়ে উন্নত থেকে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে পরমাণুর জগত ও মহাকাশের অনেক রহস্য উন্মোচিত হতে থাকে। এসময় তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় এমন একটি তত্ত্ব নির্মাণ করা, যা প্রকৃতির সবগুলো বলকে একীভূত করতে পারে। মূলধারার গবেষকরা বুঝতে পারেন প্রকৃতিতে যে চারটি মৌলিক বল আছে, তাদের একীভূত না করতে পারলে নতুন নতুন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। আর প্রকৃতিকেও বোঝা সম্ভব না। আইনস্টাইনের স্বপ্নের “ইউনিফাইড ফিল্ড থিওরি” তখন বিজ্ঞানীদের বাস্তব প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। "ইউনিফাইড ফিল্ড থিওরি" ধারনাটির মূলত আবির্ভাব হয় একটি প্রধান কারণে । সেটা হল মহাবিশ্বের শিকড় বিশ্লেষণ । আর এর আবিষ্কারের প্রেক্ষাপট অনেক বড়,যে কারনে আমরা না হয় একটু সংক্ষেপেই আলোচনা করি। পদার্থবিদ্যার চারটি মৌলিক বলের কথা আমরা নিশ্চই জানি । সেগুলো হল : ১. মহাকর্ষ বল ২.সবল নিউক্লিয় বল ৩.দূর্বল নিউক্লিয় বল ৪.তড়িৎ চুম্বকীয় বল

Dhaka - The city of Dreams

Introduction: Dhaka, the capital city of Bangladesh, has a rich and complex history. The city has been a center of political, economic, and...